দখিনের খবর ডেস্ক ॥ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে রোজিনা ইসলামের সঙ্গে যা হয়েছে তা ন্যক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এই মন্তব্য করেন। তিনি রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে তার মুক্তি দাবি করেছেন। ফখরুল বলেন, ‘করোনা সংক্রান্ত দুর্নীতি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন রোজিনা ইসলাম। এই অপরাধে মন্ত্রণালয়ে সচিবের কার্যালয়ে তাকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’ ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রিক সমাজকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য এটা সরকারের একটা নীলনকশা। বাংলাদেশে কোনো মানুষের অধিকার নেই। সুপরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে, লয়ারদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে, ডাক্তারের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সমাজকে বিভক্ত করে ধ্বংস করা হচ্ছে।’ এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল্লাহ মাসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় প্রমাণ হয়, বাংলাদেশে এখন স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং তথ্য পাবার কোনো সুযোগ অবশিষ্ট নাই।’ বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, ‘রোজিনা ইসলাম একজন সিনিয়র সাংবাদিক। তার অনেক অনুসন্ধানী ও সাহসী রিপোর্টে সরকারের বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক বড় বড় দুর্নীতির খবর জনগণ জানতে পেরেছে। সে জন্য সরকার তার ওপর নজরদারি করছিল বলে মনে হয়।’ বিবৃতিতে তিনি রোজিনা ইসলামকে মুক্তি, তার বিরুদ্ধে করা জিডি প্রত্যাহার ও তাকে আটকে রাখার সাথে জড়িতদের বিচার এবং সাংবাদিক দলন-নিপীড়ন বন্ধ করে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সঠিক তথ্য পাবার অধিকারে সরকারী হস্তক্ষেপ বন্ধের জোর দাবি জানান।
Leave a Reply